৭ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট - ২০২২ বিষয়
: বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট নং : ০১ অ্যাসাইনমেন্ট সপ্তাহ : ৩য় শিরোনাম : স্বাস্থ্য ব্যকিষ্টিতে সুজবের প্রভাব এবং
সচেতনতা সৃষ্টি।
তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২২
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক, মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ঢাকা ।
বিষয় : " স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে জীবের প্রভাব এবং সচেতনতা সৃষ্টি " | সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
বিনীত নিবেদন এই যে,
| জনাব , বিনীত নিবেদন এই যে,
আপনার আদেশ নং ম.উ.বি ৩১৯৮-৬
তারিখ : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ অনুসারে "
" স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে জীবের প্রভাব এবং সচেতনতা সৃষ্টি " সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।
(ক) নং প্রশ্নের উত্তরঃ অণুজীবঃ নিম্মশ্রেণির যে সকল জীব অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া দেখা যায় না, তাদেরকে অণুজীব বলে। উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যামিবা হচ্ছে অণুজীব।
নিন্মে অণুজীব হিসেবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকৃতি বর্ণ করা হলােঃ ভাইরাসের প্রকৃতিঃ ভাইরাস অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব। এদের দেহে কোষপ্রাচীর, প্লাজমালেমা, সুগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই। এরা শুধু প্রােটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড নিয়ে গঠিত। এজন্য ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় । ব্যাকটেরিয়ার প্রকৃতিঃ ব্যাকটেরিয়া হলাে আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত অণুজীব। এরা সচরাচর অসবুজ ও এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব। এদের কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। কেন্দ্রিকা সুগঠিত থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী বলা হয়। এর কোষ সাধারণত গােলাকার, দন্ডাকার, কমা আকার, প্যাঁচানাে ইত্যাদি আকৃতির।
(গ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ এ এস ২, ৫৩ ৫৫. বিভিন্ন ধরনের অণুজীব মানবদেহে নানা রকম রােগ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে। এসব রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলাে- কীভাবে রােগজীবাণুটি ছড়ায় সে সম্পর্কে ভালাে ধারণা রাখা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরােধে করণীয় সমূহ নিম্মরূপ১। হাতের নখ নিয়মিত কেটে ফেলতে হবে। ২। খাওয়ার আগে এবং মলত্যাগের পর সাবান বা ছাই দিয়ে ভালােভাবে হাত ধুতে হবে। ৩। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পর্চা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। ৪। ভােলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং স্যানেটারি পায়খানা ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং, উপরােক্ত করণীয়সমূহ পালনের মাধ্যমে আমরা অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরােধে সক্ষম হতে পারব।
(ঘ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ অজীৰ ষ্ট স্থ। বুক এত চত তত ৫ে. বিভিন্ন ধরনের অণুজীব মানবদেহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে। এসকল অনুজীব সৃষ্ট স্বাথ্য ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টামিবার মতাে অণুজীবের কারণে মানব দেহে নানা রকমের রােগ সৃষ্টি হয়। এসব রােগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে । যেমন- ভাইরাসজনিত রােগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত রােগীর মাধ্যমে সুস্থ দেহে এর জীবাণু ছড়িয়ে পরে । তাই ভাইরাসজনিত জীবাণু প্রতিরােধে সচেতনতা হিসেবে হাচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে-সেখানে থুথু ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে । নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহাওে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আবার, অ্যান্টামিবা অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত হলে এমিবিক আমাশয় হয়। এক্ষেত্রে, মলত্যাগের পর ও খাওয়ার পূর্বে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত হাত ও পায়ের নখ কাটতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত পায়খান ব্যবহার করতে হবে। এরুপ সচেতনতা এ রােগ থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবে। পরিশেষে বলা যায়, অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা তৈরি অতি গুরুত্বপূর্ণ | ভূমিকা পালন করে। তাই এরুপ অণুজীব সৃষ্ট রােগ হতে বাঁচার উপায় হিসেবে সচেতনতা। সৃষ্টি করতে হবে। শ্রেণি= ৭ম
রােল: ০১
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা।
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ :১০ ফেব্রুয়ারি , ২০২২
প্রতিবেদন তৈরির সময় : রাত ৮ টা
0 Comments