উত্তরঃ
ক. লাইব্রেরির পরিচয়ঃ
ল্যাটিন Liber ও Librarian শব্দদ্বয় থেকে Library শব্দটি এসেছে। এর সংস্কৃতি ও বাংলা প্রভিশব্দ হলাে গ্রন্থাগার। (free academy) গ্রন্থ মানে বই, আগার অর্থ স্থান বা গৃহ। সুতরাং বই রাখার স্থান বা গৃহকে গাগার বলা হয়।
L Latest – Information
B- By
R- Research
A And
R-Reference
Y- For you
এককথায়- গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী বলতে সাধারনত যেখানে তখ্য সামন্ত্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পাঠককে প্রদান করা হয় তাকেই বােঝায়।
উদাহরণ:
১। জাতীয় গ্রন্থাগার:- জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারনত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। দেশ ও জাতি সম্পর্কে দেশী-বিদেশী সকল প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করাই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
২। গণগ্রন্থাগার:- পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজে সকল প্রকারের সদস্য দ্বাত্র, যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা ও বিভিন্ন পেশাজীবী যেহেতু এর ব্যবহারকারী সুতরাং আবশ্যিকভাবে সংগ্রহ করা হযও বহুমূখী।
৩। একাডেমিক গ্রন্থাগার একাডেমিক গ্রন্থাগার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালযের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠ ও গবেষনা প্রযােজন মেটানাের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।
৪। বিশেষ গ্রন্থাগার: বিশেষ গ্রন্থাগার আসলে এক ধরনের গবেষণা গ্রন্থাগার, যাকে আমরা টেকনিক্যাল লাইব্রেরীও বলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে নানা বিষয়ে গবেষণা কর্মের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এই গবেষণা কর্মে সহায়তা জোগানাের জন্যই বিশেষ গ্রন্থাগারের আবির্ভাব।
খ. যে ধরলের বই পড়তে ভালাে লাগে:
আমার মূলত সব বই পড়তে ভালাে লাগে। তবে ভ্রমণকাহিনি গড়তে আমার সবচেয়ে বেশি ভালাে লাগে। কারণ তাতে আমাকে জানার আনন্দ পাওয়া যায়। বইযের ভেতর দিয়ে পৃথিবী ঘুরে আসা যায়। সমৃদ্ধ হয় নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার জগৎ। (free academy) পঞ্চম শ্রেণিতে দেথে এলাম নায়াগ্রা’ নামক ভ্রমণকাহিনি আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে রাঁচি ভ্রমণ’ পড়ে আমার এই ধারণা হযেছে। ঘরে বসেই জানতে পেরেছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কানাডার নায়াগ্রা জলন্ত্রপাত ও ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাঁচি অঞ্চলের মনােরম প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে।
ফলে ভ্রমণবিষয়ক বই পড়ার প্রতি আমার কৌভূহল বেড়ে যায়। ভ্রমণকাহিনিগুলাের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন। এ বইটি যখন পড়ি, তখন আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে ইংল্যান্ডের বিচিত্র ছবি। বইটিতে লেখক লন্ডনের মিউজিয়ামগুলাের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা খুবই জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এসব আমাকে খুবই আকর্ষণ করে। বইটি পড়তে পড়তে আমি যেন নিজের অজান্তেই বিলাভের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে আসি। অজানাকে জানার আনন্দই আমাকে পড়ার মধ্যে বেঁধে রাখে।
গ, লাইব্রেরির প্রয়ােজনীয়তা:
১। জাভির বিকাশ ও উন্নতির মানদন্ড গ্রন্থাগার একটি জাতির বিকাশ ও উন্নতির মালদও। পাঠাগার মানুষের ব্যস, রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করে থাকে। গ্রন্থাগারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠে সংহতি, যা দেশ গড়া কিংবা রক্ষার কাজে অমূল্য অবদান। চিন্তাশীল মানুষের কাছে গ্রন্থাগারের উপযােগিতা অনেক বেশি।
২। Knowledge আহরণের সহজ মাধ্যম: গ্রন্থাগাৱ জ্ঞান আহরণের সহজ মাধ্যম। আমাদের মতে উন্নয়নশীল দেশে মন্থাগারের উপযােগিতা উন্নত দেশগুলাের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ মৌলিক চাহিদা মেটাতেই আমরা হিমশিম খাই। (free academy) ভাই আমাদের পক্ষে বই কিনে পড়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। কম লেখাপড়া জানা ও গরিব মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগার যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনি জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও গ্রন্থাগারের ভূমিকা অভাবনীয়।
৩) আদর্শ সমাজের রূপরেখা তৈরি একটি সমাজের রূপরেখা বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার। আজকের ছাত্ররাই আগামী দিলের জাতির কর্ণধার। তাদের মানসিক বিকাশের মাধ্যমে সমগ্র জাতির উন্নতি সম্ভব। তাই শহরের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামে-মহল্লায় পাঠাগার গড়ে তােলা প্রযােজন।
ঘ, নিজের দেখা একটি লাইব্রেরির বিবরণ:
আমাদের লাইব্রেরিতে প্রায় ২০,০০০ এর মত বই রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঠ্য বই, ৯ম ১০ম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজী ব্যাকরণ বই, উপন্যাস বই, সাযেন্স ফিকশন, কবিতার বই, গল্পের বই, ডিকশনারি এবং বিদেশী লেথদের বই অন্যতম। আমি একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে বলতে পারি আমার দেখা আমাদের বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটি একটি আধুনিক এবং স্বয়ংসম্পন্ন লাইব্রেরি।
0 Comments