১০ম শ্রেণীর ৩য় সপ্তাহ বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর 2022
উত্তরঃ
ক) সমাজ ও সংস্কৃতিৰ ধাৰণাঃ সমাজ বলতে মূলত এমন এক ব্যবস্থা বােঝায়, যেখানে একাধিক চবিত্র একত্রে কিছু নিয়ম-কানুন প্রতিষ্ঠা কবে একত্রে বসবাসের উপযােগী পরিবেশ গড়ে তােলে। মানুষের ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি একত্র হয়ে লিখিত কিংবা অলিখিত নিয়ম-কানুন তৈরি কবে; এরকম একত্র বসবাসের অবস্থাকে সমাজ বলে।
সমাজের সদস্য হিসেবে অর্জিত নানা আচরণ, যােগ্যতা এবং জ্ঞান, বিশ্বাস, শিল্পকলা, নীতি, আদর্শ, আইন, প্রথা ইত্যাদির এক যৌগিক সমন্বয় হল সংস্কৃতি। সংস্কৃতি হল মানব সৃষ্ট এমন সব কৌশল বা উপায় যার মাধ্যমে সে তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে।
খ) আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয়ঃ
প্রবাস বন্ধু সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে গ্রন্থের পঞ্চদশ অংশ। প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের একটি অন্যতম সংস্কৃতি হলাে সেখানে গুরুজনদের দিকে তাকাতে নেই। এছাড়াও এছাড়াও ভূমি, পবিবেশ; সেখানকার মানুষ ও তাদের সহজ-সরল জীবনাচরণ, বিচিত্র খাদ্য ইত্যাদি হাস্যরসাত্মকভাবে এই বচনায় ফুটিয়ে তােলা হয়েছে। লেখকের আফগানিস্তান ভ্রমণের আংশিক অভিজ্ঞতার পরিচয় আছে এখানে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সন্নিকটে থাজামােল্লা নামক গ্রামে বাসের সময় আবদুব বহমান নামের একজন তার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। আফগান আবদুর রহমান চরিত্রের মধ্যে সরলতা, স্বদেশপ্রেম, অতিথিপরায়ণতা ফুটে উঠেছে। আবদুর বহমানের বান্না ও পরিবেশন করা খাবাবের মধ্যে আফগানিস্তানের বিচিত্র ও সুস্বাদু খাদ্যবস্তুর পরিচয় পাওয়া যায়।
পাওয়া আফগানিস্তানের প্রস্তুবভূমি এবং একই সঙ্গে নিকটপ্রতিবেশী এই জনপদের বরফশীতল জলবায়ু আকর্ষণীয়। আব্দুর রহমানের সরল আতিথেয়তায় কথনাে লেখকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটলেও শেষ অবধি সৈয়দ মুজতবা আলী একে গ্রহণ করেছেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।
গ) বাংলাদেশের সঙ্গে। আফগানিস্তানের সমাজ ও সংস্কৃতির তুলনাঃ
ঘ) প্রবাস বন্ধু’ রচনায় লেখকের যে রসবােধের পরিচয় পাওয়া যায়ঃ
১) ‘তােমার বপুটার সঙ্গে আমার তনুটা মিলিয়ে দেখাে দিখিনি।’ আফগানিস্তানে লেখকের সেবক আবদুর রহমানকে তার বিশাল দেহের সাথে লেখকের ক্ষীণ দেহ মিলিয়ে দেখার প্রসঙ্গে আলােচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
২) বাত দুটোয় খাবার জুটলেও জুটতে পাবে। আবদুর রহমানের বান্নার আযােজন দেখে লেখক মনে করেছিলেন রান্না করতে অনেক রাত হয়ে যাবে। তাই তিনি রসিকতা কবে একথা বলেছেন।
৩) কার গােয়াল, কে দেয় ধুয়াে চাকর আবদুর রহমান খাওয়াতে পেরে আনন্দিত। সে অবস্থায় তাকে খেতে বলা অর্থহীন- এ প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে।
আবদুর রহমান লেখককে পানশিবের বরফ পতনের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়ে বলে সাতদিন জানালার ধারে বসে থেকে শুধু এর সৌন্দর্য দেখে কাটানাে যায়। তাই লেখক পানশিবে যেতে চাইলে আবদুর রহমান অনেক খুশি হয়। এতে আবদুর রহমান খুশি হলে লেখক মজা কবে বলেন, তিনি পানশিবে যানে আবদুর রহমানের খুশির জন্য নয়, বরং নিজের প্রাণ বাঁচানাের জন্য। কেননা, আবদুর রহমান যদি পানশিবে বসে থাকেন তবে লেখকের রান্না করার মানুষ থাকবে না।
0 Comments