(‘ক’ নং প্রশ্নের উত্তর)
A ও B মৌলের মধ্যে বন্ধন গঠন ও বিদ্যুৎ পরিবাহীতাঃ
উদ্দীপকে A নৌলের অবস্থান পর্যায় সারণির ১ম পর্যায় এবং গ্রুপ-১ এ। তাহলে, A মৌলটি হবে H. |
এবং B মৌলের অবস্থান পর্যায় সারণির ২য় পর্যায় এবং গ্রুপ-১৪। তাহলে, B মৌলটি হবে c. নিক্সে H ও c এর মধ্যে বন্ধন গঠন দেখানো হললো । H ও C এর মধ্যে সমযাজেী বন্ধন বিদ্যমান। তারা পরস্পর সমযাজেী বন্ধনে আবদ্ধ হযে CH, উৎপন্ন করবে।
উক্ত চিত্র হতে দেখা যায় যে, C ও H তাদের সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে বন্ধন গঠন করে, তাই এরা সমযাজেী যৌগ। CH, যৌগের বিদ্যুৎ পরিবাহিতাঃ আমরা জানি, সমযাজেী যৌগ গুলি সাধারণত অধাতব পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়। ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযাজেী যৌগ গঠিত হওয়ায, সমযাজেী যৌগের অণুতে কোন ধনায়ক-ঋণাত্মক আধানে সৃষ্টি হয় না। এজন্য সমযোজী যৌগ গুলি সাধারণত অশালোর হ্য। সমযাজেী যৌগ গুলি অপালোর হওয়ায় এরা তড়িৎ পরিবহন করতে পারে না। কার্বনের বেশিরভাগ যৌগ ইলেকট্রন শেয়ার করে সমযাজেী যৌগ সৃষ্টি করে। তাই কার্বনের যৌগ সমূহের ক্ষেত্রে দেখা। যায় এরা তড়িৎ পরিবহন করে না। CH (মিথেন) অণুটি কার্বন ও হাইড্রোজেন অধাতুর পরমাণুসমূহ ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়। অণুটিতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান গঠিত না হওয়ায় মিথেন অনুটি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।
‘খ নংপ্রশ্নের
ইত্তর) C ও D মৌলের মধ্যে বন্ধন গঠন ও বিদ্যুৎ পরিবাহীতাঃ উদ্দীপকে C মৌলের অবস্থান পর্যায় সারণির ২য় পর্যায় এবং গ্রুপ-১৬ এ। তাহলে, c মৌলটি হবে 0.
এবং D মৌলের অবস্থান পর্যায় সারণির ৪র্থ পর্যায় এবং গ্রুপ-৯। তাহলে, D মৌলটি হবে K. নিক্সে 0 ও K এর মধ্যে বন্ধন গঠন দেখানো হলোঃ 0 ও K এর মধ্যে আয়নিক বন্ধন বিদ্যমান। তারা পরস্পর ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে আয়নিক বন্ধনে আবদ্ধ। হযে K০ উৎপন্ন করবে। আষনীয় বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন হল এক প্রকার রাসায়নিক বন্ধন, যা বিপরীত আধানযুক্ত আয়নসমূহের মধ্যে স্থির-তাড়িতি আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এছাড়া। এই বন্ধন আ্যনীয় যৌগে ক্রিয়াশীল একটি প্রাথমিক বল। এককথায, পূর্ণ যোগ্যতা কক্ষ লাভের জন্য ধাতু থেকে অধাতুর দিকে ইলেক্ট্রনের সরণই হল আয়নীয় বন্ধন।
যৌগের গলনাংক ও স্ফুটনাংক:
আমরা জানি, আয়নিক যৌগের অণুতে পরমাণু সমূহের মধ্যে বিদ্যামান বন্ধন শক্তি, সমযাজেী যৌগের অণুতে বিদ্যামান পরমাণুসমূহের মধ্যকার বন্ধন শক্তি অপেক্ষা বেশি থাকে। আবার আয়নিক যৌগের পরমাণু সমূহ ধনামক ও ঋণাক। চার্জিত থাকে। এই ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধান অনু গঠনের সময় ত্রিমাত্রিক ভাবে সুবিন্যাস্ত হযে জ্যামিতিক কাঠামো গঠন করে। এতে করে আয়নিক যৌগের একটি ক্যাটায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যানায়ন দ্বারা এবং আয়নিক যৌগের একটি অ্যানায়ন নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্যাটায়ন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এতে আয়নিক যৌগের অণতে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল অনেক বেশি হয়। ফলে আয়নিক যৌগের অণ কে ভাঙতে অনেক বেশি তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই আয়নিক যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি
আয়নিক বন্ধন দ্বারা তৈরি। তাই তারা আয়নিক যৌগ। তাই এর গলনাংক ও স্ফুটনাংক অনেক বেশি। শুধু যৌগের গলনাংক হলো 350°
(থকে 740° পর্যন্ত।
. গ নংপ্রশ্নের
উত্তর- ‘খ’ হতে পাই, D মৌলটি হলো K. K এর একাধিক পরমাণুর মধ্যে ধাতব বন্ধন বিদ্যমান। নিম্নে এর কারণ ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতা দেখানো হলো একটি ধাতু অপর একটি অধাতুর মধ্যে আয়নিক বন্ধন এবং দুটি অধাতুর মধ্যে সমযাজেী বন্ধন গঠিত হয়। কিন্তু দুটি ধাতব পরমাণু কাছাকাছি এলে তাদের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে ধাতব বন্ধন বলে। ধাতু সমূহ যে ধরনের। বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তা ই ধাতব বন্ধন। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক চার্জ যুক্ত ধাতব আয়নের মধ্যে হয়ে থাকে। এই বিশেষ ধরনের। বন্ধনের কারণেই ধাতু তাপ এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করে। এই বন্ধন সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন এবং ধনাত্মক চার্জ যুক্ত ধাতব আযনের মধ্যে হয়ে থাকে। ধাতব বন্ধন ধাতুর অনেকগুলো ভৌত ধর্ম যেমন: যান্ত্রিক শক্তি, নমনীয়তা, তাপ এবং বৈদ্যুতিক রোধে এবং পরিবাহিতা, অস্বচ্ছতা এবং দীপ্তির জন্য দায়ী।
পটাশিয়াম একটি ধাতব মৌল হওয়ায় এর দ্বারা গঠিত বন্ধন
হবে ধাতব বন্ধন। ইলেকট্রন বিন্যাস অনুসারে, এর সর্বশেষ | সুরে একটি মুক্ত ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকায় ইলেকট্রনটি সঞ্চারণশীল হয় এবং পারমাণবিক শাঁসের মধ্যে চলাচল করে বিদ্যুৎ পরিবহণ করে। তাই বলা যায় যে, পটাশিয়াম (K) বিদ্যুৎ পরিবহণ করে।
0 Comments